বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান সহ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে লন্ডন মহানগর বিএনপির উদোগে গত কাল ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার আমার গাও রেস্টুডেন্ট ব্রিকলেনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সাধারন সস্পাদক আবেদ রাজার পরিচালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাসুক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সস্পাদক খালেদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন লন্ডন মহানগর বি এন পি সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ ,সহ-সভাপতি সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী ,শরীফ উদ্দিন ভুঁইয়া বাবু.আব্দুর রব ,কদর উদ্দিন ,মোঃ আকলুছ মিয়া.মো: আবু তাহের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আহমেদ , রোমান আহমেদ চৌধুরী ,সহ সাধারণ সম্পাদক তুহিন মোল্লা, কোষাধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউর রহমান ,সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ.মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম ,সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান মইনুল হক উজ্জ্বল , সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক সোহেল আহমেদ বদরুল, শাকিল আহমদ. ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ আতাউর রহমান,সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশিক বক্স. সহ প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক জামাল হোসেন,সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান. শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন.বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুল ইসলাম.কার্যকরী কমিটির সদস্য আবদুল হক শাওন. আফতাব আলী. মো: সাব্বির. হোসেন আহমদ. নাজিয়া আকবর. মো: রাজিব হোসেন. রানা আহমদ সোহেল. নজরুল ইসলাম হান্নান. কাজী মুনীর হাসান. সন্জয় কুমার সাহা. ফয়ছল আহমদ. তুহেলুর রহমান. সাকেরা রব ইতি. মোহতাজিম আরাফাত. সৈয়দ কবির হোসেন. টিপু। সুলতান. মোহাম্মদ রনি প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন কোন স্বৈরাচার সরতে চায় না, ক্ষমতা দখল করে রাখে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ বারবার এই সমস্ত শক্তিকে, ব্যক্তিদের, যারা জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় তাদের টেনে হিচড়েই নামিয়ে ফেলেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনকে ছলচাতুরী করে আটকে রাখার চেষ্টা করছেন। এত ভয় পান যে খালেদা জিয়া যদি আজকে বের হন আপনাদের মসনদ জনগণের স্রোতে ভেসে যাবে। এই কারণেই আপনারা তাকে আটকে রেখেছেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যদিয়ে জনগণের সমম্পৃক্ততা নিয়ে এসে যে আন্দোলন, সে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথেই আন্দোলনে সফলতা আসবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথের সেই আন্দোলনকে সরকার ভয় পাচ্ছে। লন্ডন মহানগর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এসব শুরু হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল। বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও কারাগারে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেই দলটি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন করে যাচ্ছে। এ রকম বহু নেতাকমী জীবন দিয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন। এখন তো দেশে কোনো আইন নেই। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সকল রাজবন্দিদের মুক্তি কার কাছে চাইব।আমাদের পথ একটাই আর তা হলো রাজপথ। সেই রাজপথের মধ্যে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সব সমস্যার সমাধান হবে। লন্ডন মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবেদ রাজা বলেন গত নিবা’চনে সরকার তার রাষ্ট্র সকল প্রশাসন ব্যবহার করে যে ভোট ডাকাতি করেছে তার জবাব বাংলাদেশের জনগণ একদিন দিবে।দুনিয়ার কোন স্বৈরচার সরকারই চিরস্হায়ী হয়নি এই তাবেদার সরকারও জনরুষে পতন হবেই ।ভাঁওতাবাজীর এই সংসদ বাতিল করে অবিলম্বে অবাধ ও নিরপক্ষ সরকারের অধীনে নিবা’চন দাবী করেন।