“জিয়াউর রহমান-ই স্বাধীনতার প্রকৃত ঘোষক” : ইন্দিরা গান্ধী
“শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার কোন ঘোষণা দেন নাই তার আরও প্রমাণ পাওয়া যায় ১৯৭১-এর ৬ই নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাষণ দেন যে ভাষণে। সেই ভাষণে মিসেস ইন্দিরা গান্ধী বলেন,
…The cry for Independence (of Bangladesh) arose after Sheikh Mujib was arrested and not before. He (Mujib) himself, so far as I know has not ask for Independence even now. … “স্বাধীনতার প্রশ্ন উঠে (বাংলাদেশের) শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার পর তার আগে নয়। আমি যতদূর জানি আজো পর্যন্ত শেক মুজিব স্বাধীনতা দাবী করেননি।”
পক্ষান্তরে সেই অন্ধকার ও সংকটময় মুহূর্তে ২৭শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র হইতে ভাসিয়া আসিয়াছিল একটি নির্ভয় বীরদর্পী বিদ্রোহী কণ্ঠ। এই কণ্ঠই সেইদিন লক্ষ কোটি বাঙ্গালীকে দিয়াছিল অভয়বাণী, ডাক দিয়াছিল মাতৃভূমির মর্যাদা রক্ষার প্রয়োজনে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করিতে। কণ্ঠটি বেঙ্গল আর্মি মেজর জিয়াউর রহমানের। উক্ত ঘোষণার অংশ বিশেষ হইল:
“I major Ziaur Rahman head ofthe provisionery revoletionary Government of Bangladesh do hereby proclaim and declare the Independence of Bangladesh …. and also appeal to the all Democratic socialist and other countries of the world to immediate recognise our country Bangladesh. …. Insha Allah victory is ours.”
“প্রিয় দেশবাসী,
আমি মেজর জিয়া বলছি। এতদ্বারা আমি স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি…
বিশ্বের সকল গণত্রান্ত্রিক, সমাজতানিত্রক ও অপরাপর রাষ্ট্রসমূহকে অনতিবিলম্বে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।… ইনশা আল্লাহ জয় আমাদের সুনিশ্চিত।”
পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে জিয়াউর রহমান কর্তৃক সংশোধিত ঘোষনাটি নিম্নরপ:
I major Ziaur Rahman on behalf of our great Leader Bangabandhu Sheikh Mujibar Rahman supreem commander and head of the provisionery Revoletionary Govt of Bangladesh do hereby proclaim and declare the Independence of Bangladesh. … সময়োপযোগী নেতৃত্বদানের ব্যর্থতা ঢাকিবার জন্যই পরবর্তীকালে শেখ মুজিবুর রহমান অসত্যের আশ্রয় গ্রহণ করিয়া নির্দেশ প্রদানের একটি ঘোষণা পত্র ছাপাইয়া সারারণ্যে বিলি করিয়াছিলেন। ইহা না করিয়া তাহার উচিত ছিল সময়োপযোগী অবদানের জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে স্বীকৃতিদান, ইহা হইত নেতাসুলভ আচরণ। তাঁহার মানসিকতার কারণেই শেখ মুজিবুর রহমান স্বাভাবিকভাবেই তাহা করিতে ব্যর্থ হন। ইহা অতীব পরিতাপ এবং দুঃখের বিষয়। যাহা হউক, মেজর জিয়ার বলিষ্ঠকণ্ঠস্বর সেইদিন বাংগালী জাতিকে স্মরণ করাইয়া দিয়াছিল কবির সেই অভয় বাণী:
“উদয়ের পথে শুণি কার বাণী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই;
নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”
এইভাবেই মেজর জিয়ার সেই ঘোষণা বাংগালী জাতির ধমনীতে সেইদিনের সেই সংকটময় মুহূর্তে জোগাইয়াছিল ঐশ্বরিক শক্তি; মনে-প্রালে সঞ্জীবিত করিয়া তুলিয়াছিল দৃঢ়প্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মানবোধ। ফলকথা, সেইদিন বাংগালীকে নিজস্ব সত্ত্বায় আত্মস্থ ও বলীয়ান করিবার জন্যই যে মেজর জিয়ার আবির্ভাব ঘটিয়াছিণ।” …… সুত্রঃ ভাষা সৈনিক ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ প্রয়াত অলি আহাদের লিখা ”জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫” গ্রন্থের ” বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ” অধ্যায় থেকে সংগ্রহকৃত ।।
লেখকঃ মোঃ সাব্বির ; da.sabbir@hotmail.co.uk