মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির অনেক প্রার্থীই ভোট দেননি

মির্জা আব্বাস ও স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

 

নির্বাচনের পরিবেশে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপির অনেক প্রার্থী তাদের নিজেদের ভোটই প্রয়োগ করেননি। এদের মধ্যে দলের হেভিওয়েট কয়েক নেতাও রয়েছেন। আবার কেউ কেউ ভোট দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন।

ঢাকা-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী আফরোজা আব্বাস রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাহানপুরে মির্জা আব্বাস ডিগ্রি কলেজে ভোট দিতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে ভোটের সার্বিক অবস্থায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ভোট দেননি।

এ সময় মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, একটা ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছে ক্ষমতাসীনরা। দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর ও কেন্দ্রে আসতে না দেয়া, এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ভোট দেয়ার কোনো মানে নেই। এর প্রতিবাদে এই দুই প্রার্থী ভোট দেয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখেন।

নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ এনে ভোট দিতে নিজের কেন্দ্রে যাননি নোয়াখালী-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানিকপুরে নিজ বাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৮টার দিকে পুলিশের পিকআপ থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তার বাড়িতে হাতবোমা নিক্ষেপ করে। প্রতিপক্ষের লোকজন মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকায় সিল মারছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তার স্বাক্ষর জাল করে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ধানের শীষের এজেন্ট সেজে কেন্দ্রে অবস্থান করছে- এমন দাবিও করেন মওদুদ। ঢাকা-৪ আসনের (ডেমরা-শ্যামপুর) বিএনপি প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ ভোট দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে ছুরিকাঘাতের শিকার হন তিনি। সালাউদ্দিনের ছেলে তানভীর আহম্মেদ রবীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সকালে শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে আমার বাবাকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে। এতে বাবা গুরুতর জখম হয়েছেন। প্রথমে তাকে আজগর আলী হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়িতে অবস্থান করেন। বেলা ১১টার সময় নগরীর মেহেদীবাগের নিজ বাসভবনে তাকে বসে থাকতে দেখা যায়।

ঢাকা-১০ আসনের বিএনপি প্রার্থী আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন, কোনো কেন্দ্রেই পোলিং এজেন্টদের থাকতে দেয়া হচ্ছে না। কয়েকটি সেন্টার থেকে পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। যেখানে আমার এজেন্টরা থাকতে পারছেন না সেখানে আমি ভোট দেব কী করে?

Print Friendly, PDF & Email