লন্ডন মহানগর বিএনপির কার্যকরী কমিটির সভায় বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবি

লন্ডন মহানগর বিএনপির কার্যকরী কমিটির সভা গত ৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার লন্ডন মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সস্পাদক আবেদ রাজার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলায়াত করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান অলি ওয়াদু।

সাংগঠনিক সস্পাদক খালেদ চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যর মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য রাখেন লন্ডন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ, সহ-সভাপতি সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী , শরীফ উদ্দিন ভুঁইয়া বাবু , আব্দুস সালাম আজাদ , আব্দুর রব , কদর উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রোমান আহমেদ চৌধুরী, সোহেল শরীফ মোহাম্মদ করিম , সহ-সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ , তুহিন মোল্লা, সোহেল আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন মৃধা, আরিফুল হক.কোষাধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউর রহমান, দফতর সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাসুক, প্রচার সম্পাদক মো: মঈনুল ইসলাম , সহ-প্রচার সম্পাদক মো: শায়েক উদ্দিন, আন্তজাতিক বিষয়ক সস্পাদক আবু নোমান.সমাজকল্যাণ বিষয়ক সস্পাদক দেওয়ান মইনুল হক উজ্জ্বল, সহ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সস্পাদক.মোঃ এনামুর রহমান এনু, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাকসুদুল হক শাকুর, আইন বিষয়ক সস্পাদক মোঃ শাহনেওয়াজ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম , সহ যুব বিষয়ক সস্পাদক জমির আলী, সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহমদ.গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ আতাউর রহমান , সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশিক বক্স , সহ পশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক. জামাল হোসেন. সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন , স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ দোলেয়ার হোসেন , সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা জামান, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুল ইসলাম , জি এম শাহরিয়ার অপু , আব্দুল হক শাওন,আফতাব আলী, মো: সাব্বির, রাজ মাসুদ ফরহাদ,হোসেন আহমদ, নাজিয়া আকবর, পটল মিয়া, মুজিবুর রহমান, আব্দুস সামাদ, নাসির উদ্দিন, শেখ মোঃ রায়হান আহমদ, রানা আহমেদ সোহেল, মোঃ হাফিজুর রহমান, গোলজার আহমদ, কাজী মুনীর হাসান, সন্জয় সাহা,সৈয়দা রাহাত আফজা,সৈয়দ তারেক রশিদ,মোঃ তোফায়েল আহমদ,মো. হেদায়েতুল ইসলাম , মো: আশরাফুল আলম, মোঃ কায়সার আহমদ রনি, অলিউর রহমান, জাহিদুর ইসলাম,মোঃ মহিউদ্দিন দেওয়ান সাব্বির,কাজী ওয়াহিদুজ্জামান, সৈয়দ তারেক রশিদ, রাসেল আহমদ, মো: শাহীনুর ইকবাল, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন কোন স্বৈরাচার সরতে চায় না, ক্ষমতা দখল করে রাখে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ বারবার এই সমস্ত শক্তিকে, ব্যক্তিদের, যারা জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় তাদের টেনে হিচড়েই নামিয়ে ফেলেছে। আপনারা (সরকার) বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ছলচাতুরী করে আটকে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কেন? ভয়ে। এত ভয় পান যে খালেদা জিয়া যদি আজকে বের হন আপনাদের মসনদ জনগণের স্রোতে ভেসে যাবে। এই কারণেই আপনারা তাকে আটকে রেখেছেন। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যদিয়ে জনগণের সমম্পৃক্ততা নিয়ে এসে যে আন্দোলন, সে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথেই আন্দোলনে সফলতা আসবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথের সেই আন্দোলনকে সরকার ভয় পাচ্ছে।

লন্ডন মহানগর বিএনপির সভাপতি বলেন, আলোচনা করার সময় শেষ হয়ে গেছে, এখন প্রতিবাদ করার সময়। গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা দেয়া হয়েছে। কিছু মামলা দেয়া হয়েছিল ওয়ান-ইলেভেনের সময়। তখন উদ্দেশ্য ছিল বিরাজনীতিকরণ। সুযোগসন্ধানী যারা গণতন্ত্রকে চলতে দিতে চায় না, তারাই এসব মামলা করেছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এসব শুরু হয়েছে। যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, দলটির প্রতিষ্ঠাতা মওলানা হামিদ খান ভাসানী থেকে শুরু করে শেখ মুজিব পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। সেই দলটি দেশ স্বাধীনের পর গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল। সে সময় বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও কারাগারে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেই দলটি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন করে যাচ্ছে। এ রকম বহু নেতাকমী জীবন দিয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন। এখন তো দেশে কোনো আইন নেই। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সকল রাজবন্দিদের মুক্তি কার কাছে চাইব? আমাদের পথ একটাই আর তা হলো রাজপথ। সেই রাজপথের মধ্যে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সব সমস্যার সমাধান করব বলে আমরা বিশ্বাস করি।

লন্ডন মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবেদ রাজা বলেন গত নিবা’চনে সরকার তার রাষ্ট্র সকল প্রশাসন ব্যবহার করে যে ভোট ডাকাতি করেছে তার জবাব বাংলাদেশের জনগণ একদিন দিবে।দুনিয়ার কোন স্বৈরচার সরকারই চিরস্হায়ী হয়নি এই তাবেদার সরকারও জনরুষে পতন হবেই । ভাঁওতাবাজীর এই সংসদ বাতিল করে অবিলম্বে অবাধ ও নিরপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবী করেন । সভায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে লন্ডন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ কিছু প্রস্তাব করলে আলোচনা করে তা গৃহীত হয়।

Print Friendly, PDF & Email